অক্টোবর ২৮, ২০১৯
‘সুন্দরবনে বিষ নয়, মধুতে ভেজাল নয়’ : জেলে-বাওয়ালিদের শপথ করালেন ডিসি মোস্তফা কামাল
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করব না, মধুতে ভেজাল দেব না, সুন্দরবনের বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করব, ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নে অংশ নেব’ উচ্চারণ করে সুন্দরবনকে বাঁচানোর শপথ গ্রহণ করেছে উপক‚লের হাজার হাজার মানুষ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নে ভেজাল মধু বাস্তবায়ন বন্ধ করা এবং সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ না ধরার বিষয়ে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল উপস্থিত সকলকে এই শপথ পাঠ করান। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য স ম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খানের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে, এটা একটা পবিত্র জায়গা। যেখান থেকে মানুষের রিজিক আসে, সেটা অবশ্যই পবিত্র। এখানে মাছ আছে, মধু আছে, বাঘ আছে, হরিণ আছে। হাজারও প্রাণ বৈচিত্র্যের সমাহার সুন্দরবন, আর আছেন আপনারা। আপনারা আছেন বলেই এই অঞ্চল মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের নিয়েই ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গঠন করতে চান। জেলা প্রশাসক বলেন, কিছু অসাধু মৎস্য শিকারি বিষ দিয়ে মৎস্য শিকার করে। তাদের চিহ্নিত করুন। আইনে সোপর্দ করুন। শিকারের নামে তারা সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সুন্দরবন আমাদের গর্ব, জীবন জীবিকার উৎস। এটা ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না। মধুতে ভেজাল দিয়ে যারা সুন্দরবনের মধুর সুনাম নষ্ট করছে তাদের ধরিয়ে দিন উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এই অঞ্চলকে ইকোট্যুরিজম এলাকা ঘোষণা করা হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা ঘোষণা করা হবে। এতে আপনাদের সন্তানরা এখানেই তাদের কর্মসংস্থান করতে পারবে। এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার ০১৭১৫২১২২৭৭ নাম্বারটি সকলকে দিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দেওয়া আহŸান জানান। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, এসি ল্যান্ড অফিস, ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিস- যেখানেই দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হবেন, আমাকে জানাবেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভায় শ্যামনগর থানা ও বনবিভাগের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 8,495,235 total views, 3,013 views today |
|
|
|